- রাজা দেবরায়
মেয়েঃ মা, সেদ্ধ ভাতের সাথে ঘি দিও। সরষের তেলটা ভালো লাগে না, ঝাঁঝ লাগে।
মাঃ বোকা মেয়ে। আরে সরষের তেলের ঝাঁঝটার জন্যই তো সবাই সরষের তেল খায়। আর সরষের তেলের ঝাঁঝ যত বেশি হবে ততই তেলটা ভালো হবে, বুঝেছিস?
মেয়েঃ আরে মা, তুমি জানো কেনো সরষের তেলে ঝাঁঝ বেশি হয়?
মাঃ কেনো আবার, বেশি হয় তো বেশি হয়!
মেয়েঃ কারণটা কী?
মাঃ অতশত বলতে পারবো না বাপু!
মেয়েঃ আসলে এই ঝাঁঝটা হয় সরষের তেলে এক ধরনের গন্ধকযুক্ত যৌগ গ্লাইকোসিনোলেট থাকার জন্য।
মাঃ এটা আবার কী!
মেয়েঃ আরে শোনো না। খাদ্যনালি বা পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাকের সময় এই গ্লাইকোসিনোলেট ভেঙ্গে গিয়ে গ্লুকোজ, সালফেট আয়ন, থায়োসায়ানেট এবং আইসোথায়োসায়ানেট তৈরি হয়। এই থায়ো বা আইসোথায়োসায়ানেটের জন্যই বেশি পরিমাণে সরষে বা সরষের তেল খেলে গলা জ্বালা, বুক জ্বালা বা পেটের যন্ত্রণা হতে পারে।
মাঃ কী বলছিস কিছুই বুঝতে পারছি না! তবে একটা কথা বল্, এই যে বললি সরষের তেল খেলে গলা জ্বালা করে, বুক জ্বালা করে, পেটের যন্ত্রণা হয়, আমরা তো কবে থেকেই খাচ্ছি, আমাদের তো কখনো এরকম হয় নি!
মেয়েঃ আমি বলেছি বেশি পরিমাণে খেলে। কম পরিমাণে সরষের তেল খেলে, যা সাধারণভাবে রান্নায় আমরা খাই, অসুবিধা নেই। বুঝলে?
মাঃ কী জানি বাপু! এরকম কথা আগে কখনো শুনিনি। তবে বেশ বুঝতে পারছি, সরষের তেলের ঝাঁঝ যাই হোক, তোর কথার ঝাঁঝ মোটেই কম নয়।
মেয়েঃ হা হা হা। কী যে বলো মা। ঘি থাকলে একটু দাও তো।
মাঃ আরে আমি আগেই আনিয়ে রেখেছি তোর বাবাকে দিয়ে। তোর যেরকম মতিগতি, ঠিক জানি যেকোন সময় ঘি চেয়ে বসবি। দিচ্ছি দাঁড়া।
মেয়েঃ লাভ ইউ মা, লাভ ইউ!!
Comments